প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'কেউ যদি কৃত্রিমভাবে ডলারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। -অর্থমন্ত্রী বলেছেন, অনেকে দাম বাড়িয়ে আমদানির ব্যবস্থা করছে। বাধা দিলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। সরকার এ ধরনের তৎপরতা বন্ধ করার চেষ্টা করছে।'
'বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় কমিয়ে আনা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার শুল্ক, এলসি মার্জিন ও ঋণের সুদহার বাড়ানোসহ বিভিন্ন উপায়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমেও বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডলারের বাজারে এসব উদ্যোগের প্রভাব পড়ছে না।'
-অর্থমন্ত্রী বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের ওপর বাজার পরিস্থিতি নির্ভর করে। ডলারের দাম অবশ্যই বাজারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে বর্তমানে যে ডলার সংকট আছে তা শিগগিরই শেষ হবে। এ বছর রেমিটেন্স বাড়বে, রপ্তানি আয়ও বাড়বে।
-তিনি বলেন, আইএমএফের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন আইএমএফ কি শর্ত দেয় সেগুলো দেশের পক্ষে যায় কিনা, উন্নয়ন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সেসব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ কোনো খারাপ অবস্থায় পড়েনি। খারাপ অবস্থায় পড়লে আইএমএফ ঋণ দেবে না। বরং আইএমএফের ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত দেশ।
কেউ যদি কৃত্রিমভাবে ডলারের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: অর্থমন্ত্রী
14'অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ৬ ও ৯ শতাংশ সুদহারের কারণে দেশের অর্থনীতি ভালো আছে। এ সুদ হার করা না হলে করোনার সময় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যেত। ব্যাংক খাতও স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। বেসরকারি খাতও ভালো আছে। আইএমএফ বললেই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে যাবে তেমন নয়। তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা দরকার হলে সরকার তা করবে।'